ড্রাগন ফলের কারিশমা।
ড্রাগন ফলের কারিশমা! ড্রাগন ফল কেটে কেটে এবং জুস করেও খেতে মজা।
বাংলাদেশের একটি পরিচিত ফল হলো ড্রাগন। সারা বছরই আমাদের দেশে ড্রাগন ফল পাওয়া যায়। পূর্বে এই ফল বাইরে থেকে আসত। এখন ড্রাগনের চাষ দেশেই হয়। এ ফলের উপকারিতা অনেক। এই ফলে আছে আঁশজাতীয় উপাদান, যা আমাদের হজমে সহায়তা করে। দীর্ঘ সময় পেট ভরা রাখে। ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে থাকে। পরিণামে কমে যায় রক্তের বাড়তি চিনি। ডায়াবেটিসও নিয়ন্ত্রণে থাকে। আরও অনেক গুণাগুণ ড্রাগন ফলে আছে।
*ড্রাগন রক্তের ক্ষতিকারক চর্বির মাত্রা কমাতে সহায়তা করে থাকে। ড্রাগন ফলে রয়েছে নিম্নমাত্রায় ক্যালরি। অতি ওজন বিশিষ্ট ব্যক্তিরা ওজন কমাতে এ ফল খেতে পারেন।
*দাঁত, হাড়, চুল, নখ মজবুত করার জন্য আয়রন, ক্যালসিয়াম ও খনিজ লবণের প্রয়োজন পড়ে। ড্রাগন ফলে এই উপাদানগুলে আছে উচ্চ মাত্রায়।
*আমাদের শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ানোর জন্য আয়রন খুবই দরকারি। ড্রাগন ফলে উচ্চমাত্রায় আয়রন আছে। বাড়ন্ত শিশু–কিশোর, অন্তঃসত্ত্বা নারী, মাতৃদুগ্ধদানকালে, জটিল কোনো অপারেশনের পরে আমাদের শরীরে আয়রনের ঘাটতি হতে পারে। ড্রাগন ফলের আয়রন এটা ঘাটতি পূরণ করে।
*নারীদের ৩০ থেকে ৩৫ বছর এবং পুরুষদের ৪০ থেকে ৪৫ বছরের পর থেকে হাড়ক্ষয় ও হাড় দূর্বল হতে শুরু থাকে। ড্রাগন ফলের ক্যালসিয়াম হাড় মজবুত করতে অন্যতম।
*দেহের কোনো অংশে কাটাছেঁড়া, ক্ষতস্থান শুকাতে সহায়তা করে ভিটামিন সি। শরীরে নতুন ত্বকের জন্য ভূমিকা রাখে বিটা ক্যারোটিন নামে একধরনের ভিটামিন সি। ড্রাগন ফলে এই ভিটামিন সি বিদ্যমান।
*বিটালেইন, ক্যারোটিনয়েড নামে গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য উপাদান আছে এতে। এই খাদ্য উপাদান ক্যানসারের বিরুদ্ধেও উপকারে আছে। রোগ প্রতিরোধ শক্তিও বাড়িয়ে তোলে।
*এই ফলে রয়েছে অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট, যা আমাদের ত্বক কুঁচকে যাওয়া, বলিরেখা, পোড়াভাব, অকাল বৃদ্ধ হওয়া, অকালে চুল পাকা রোধ করে।
*মাত্রাতিরিক্ত লবণ আমাদের রক্তচাপ বাড়াতে পারে। ড্রাগন ফলে রয়েছে নিম্নমাত্রায় লবণ, যা আমাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
বিভিন্ন রঙের ড্রাগন ফল পাওয়া যায়। সব রঙের ড্রাগন ফলই পুষ্টিকর। কেহ কেহ মনে করেন, বিদেশি ফল এ দেশের মাটিতে চাষ করার ফলে রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহৃত হয়।
এ কারনে ড্রাগনের পুষ্টিগুণ নষ্ট হতে পারে বলে ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। ড্রাগন ফল সব বয়সের মানুষের জন্য ভীষণ স্বাস্থ্য উপকারী।
ভেষজ বাড়ি
Newer Posts
Newer Posts
Older Posts
Older Posts
Comments