ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে গুরমার পাতা।
গুরমার পাতার উপকারিতা ও ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণ। আয়ুর্বেদ গাছ গাছড়া ও ভেষজ প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের পরামর্শ দিয়ে থাকে।
জানুন কীভাবে গুরমার সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
ডায়াবেটিস এমন একটি ধরণ যা রক্তে উচ্চ রক্ত সুগারের জন্যই হয়ে থাকে। ডায়াবেটিস রোগীদের প্রায়ই তাদের ডায়েটের প্রতি নিয়মিত সতর্কতার সাথে যত্ন নেওয়া উচিত। তাদের বিনা সুগারের আইটেম, রিফাইন্ড কার্বোহাইড্রেট এবং ট্রান্স-ফ্যাট খাওয়া নিয়ন্ত্রণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। আয়ুর্বেদে মিষ্টি এবং কার্বোহাইড্রেটের অত্যধিক ব্যবহার পরিহার করার পরামর্শ দেযওয়া হয়।
এমন কিছু ভেষজ রয়েছে যা প্রাকৃতিকভাবে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে এবং ওঠানামা প্রতিরোধ করতে পারে। তেমনই এক ভেষজ গুরমার গাছের পাতা। গুরমার গাছের পাতানডায়াবেটিসের জন্য প্রতিষেধকের চেয়ে কম নয়। জানুন কীভাবে এই পাতা সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখে।
*ডায়াবেটিসের জন্য গুরমার পাতার উপকারিতা-
গুরমার পাতা ভারত, আফ্রিকা এবং অস্ট্রেলিয়ায় জন্মে। আয়ুর্বেদে এটি অ্যালার্জি, কাশি এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো বেশ কয়টি রোগের চিকিত্সার জন্য ব্যবহার হয়ে থাকে।
গুরমার বা জিমনেমা সিলভেস্ট্রের পাতায় ট্রাইটারপেনয়েড স্যাপোনিন, ফ্ল্যাভোনল এবং গুয়ারমারিন থাকে, যা অ্যাসপার্টামের মতো কৃত্রিম মিষ্টির থেকে জিহ্বায় মিষ্টির স্বাদ দমন করতে কাজ করতে পারে।
গবেষণায় দেখা গেছে যে, গুরমার খাওয়া চিনিযুক্ত বা মিষ্টি খাবারের লোভ কমাতে সাহায্য করে। গুরমার নির্যাস মিষ্টির স্বাদ গ্রহণের ক্ষমতা কমায় ও এইভাবে মিষ্টি খাবারকে কম আকর্ষণীয় করা হয়। দেখা যায় যে যারা গুরমার পরিপূরক গ্রহণ করেছিল তাদের পরবর্তী খাবারে মিষ্টির জন্য কম চাহিদা ছিল এবং যারা গুরমার নির্যাস গ্রহণ করেননি তাদের তুলনায় তাদের মিস্টি খাদ্য গ্রহণ সীমিত করার সম্ভাবনা বেশি ছিল।
*ডায়াবেটিসের জন্য গুরমার পাতা-
গুরমার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণে সমৃদ্ধ, যা রক্তে শর্করাকে নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে। বহু গবেষণায় দাবি করা হয়েছে যে, গুরমার পাতার গুঁড়ো ডায়াবেটিসের জন্য একটি ভেষজ উপাদান। আসলে, মিষ্টি খাওয়া কমানোর জন্য এর নামকরণ গুরমার করা হয়েছে। গুরমার পাতায় রজন, অ্যালবুমিন, ক্লোরোফিল, কার্বোহাইড্রেট, টারটারিক অ্যাসিড, ফরমিক অ্যাসিড এবং বিউটারিক অ্যাসিড থাকে।এর পাতা চিবিয়ে খেলে সারাদিন রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ে না। এছাড়াও, গুরমার পাতা খারাপ কোলেস্টেরল (এলডিএল) কমিয়ে এবং ভাল কোলেস্টেরল (এইচডিএল) বাড়িয়ে কোলেস্টেরলের ভারসাম্য বজায় রাখতে খুবই কার্যকরী।
*ডায়াবেটিস রোগী কিভাবে গুরমার খাবেন-
দুপুরের ও রাত্রের খাবারের আধা ঘণ্টা পর গুরমার পাতার গুঁড়ো এক চা চামচ পানির সাথে মিশিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এটা বিশ্বাসযোগ্য যে এটি কার্বোহাইড্রেটের শোষণ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। যদিও এটি নিশ্চিত করতে পারি না আমরা। বিস্তারিত জানার জন্য ডাক্তারের সাথে কথা বলুন।
বিশেষ দ্রস্টব্য: পরামর্শ সহ এই উপাদান সাধারণ তথ্য প্রদান করে মাত্র। এটা কোনোভাবেই যোগ্য চিকিৎসার ভিত্তি বা বিকল্প না। বিস্তারিত জানার জন্য সবসময় একজন বিশেষজ্ঞ অথবা ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করতে পারেন। আমরা এই তথ্যের দায় স্বীকার করি না।
ভেষজ বাড়ি।
•
Newer Posts
Newer Posts
Older Posts
Older Posts
Comments