প্রাকৃতিক ভেষজ উপাদান ব্যবহার করেও ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

 প্রাকৃতিক ভেষজ উপাদান ব্যবহার করেও ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণ করা যায়।


যেমন আমি শুধুমাত্র ভেষজ উপাদান দিয়ে ঔষধ /ইনসুলিন ছাড়াই বিগত ৫/৬ বছর যাবত ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে রেখেছি।আলহামদুলিল্লাহ।


যেসব লক্ষণ দেখলে ডায়াবেটিস রোগের পরীক্ষা করা প্রয়োজন।

ডায়াবেটিস হয়েছে, সেটা দীর্ঘদিন বুঝতে পারেনা অনেকে। কোন কারণ ছাড়াই তিনি শুকিয়ে যেতে পারেন। ক্লান্তি আর অবসাদ বোধ করছেন।

তিনি একাই নন, জানা যায় বাংলাদেশে ডায়াবেটিক আক্রান্তদের ৫০ শতাংশের বেশি কিন্তু মানুষ টেরই পাননা যে তিনি এই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। এ কারণে ডায়াবেটিস সম্পর্কে সবার সচেতনতা বৃদ্ধি খুব জরুরি।

জানা যায়, যাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি থাকে, তারা প্রাথমিকভাবে ডায়বেটিস  রোগে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি বুঝতে পারেন না। এটা হচ্ছে ধীরগতির ঘাতক। যার হয়, সেদিনই তাকে অসুস্থ করে না। ধীরে ধীরে তার শরীরে বিভিন্ন রোগ বাসা বাধেঁ।

দীর্ঘদিন ডায়াবেটিস শনাক্ত না থাকলে বা এর চিকিৎসা না করলে কিডনি, লিভার, চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হযতে পারে। শরীরের ত্বক নষ্ট হতে পারে।, চুল পড়া শুরু হতে পারে।  শরীরের অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গও অসুস্থ হতে পারে।

যারা যত বেশি শারীরিক ব্যায়াম বা পরিশ্রম  করবেন, তাছাড়া যদি রোজ কমপক্ষে ১০ হাজার কদম কেউ হাঁটাচলা করেন, তাইলে ডায়াবেটিক্স থাকলেও সেটা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকে। এটা কয়জন করতে পারেন।

কারো ডায়াবেটিক্স এ আক্রান্ত হলে অবশ্যই তাকে তার জীবনযাপনে অবশ্যই নিয়ম মেনেন চলতে হবে। রক্যামিকেলযুক্ত বাজারের চিনি গ্রহন পরিহার করতে হবে।

টাইপ-২ ধরণের ডায়াবেটিসের অধিকাংশ  ক্ষেত্রেই পূর্ব সতর্ক থাকলে, আর শারীরিক পরিশ্রম করলে এবং খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাপনে নিয়ন্ত্রণ করলে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। বলা বাহুল্য একবার ডায়াবেটিস হলে আর এর থেকে মুক্তি পাওয়া যায় না।

এ সব লক্ষণ দেখলে সতর্ক  হওয়া দরকার-:
*ঘনঘন প্রস্রাব  ও পানির পিপাসা
* শরীর দুর্বল ও ঘোর ঘোর ভাব
*ক্ষুধা বাড়া
*নিয়মমাফিক খাওয়া-দাওয়া না হলে রক্তের সুগার কমে হাইফো হতে পারে
*মিষ্টান্ন জাতীয় খাবারের প্রতি ঝোঁক বাড়া
*হঠাত করেই শরীরের ওজন কমতে থাকা
*শরীরের ঘা বা ক্ষত হলে দীর্ঘসময়কালে সেটা না কমা
*শরীরের চামড়া শুষ্ক, খসখসে ও চুলকানি
*বিরক্তি ও মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া
*চোখে কম দেখতে শুরু

কাদের ঝুঁকি বেশি

জানা যায়, যাদের বাবা-মা, ভাই-বোন বা ঘনিষ্ঠ আত্মীয়স্বজনদের ডায়াবেটিস আছে, তাদের এই রোগটিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি রয়েছে।

যারা নিয়মিত হাঁটাচলা বা শারীরিক পরিশ্রম করেন না, অলস বা অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করেন, তাদের এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি।

কোন কোন ক্ষেত্রে মহিলাদেরও গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস রোগ হওয়ার ঝুঁকি থাকে।

যাদের হৃদরোগ আছে, রক্তে কোলেস্টেরল মাত্রা বেশি, উচ্চ রক্তচাপ আছে, তাদেরও এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

যেসব শিশুর ওজন বেশি, যাদের বাবা-মা, ভাই-বোন, দাদা-দাদী, নানা-নানী বা ঘনিষ্ঠ আত্মীয়স্বজনের ডায়াবেটিস যার মায়ের গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস ছিল, সেই সব শিশুর ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

কী করতে হবে?
যাদের ঝুঁকি রয়েছে, তাদের অবশ্যই বছরে একবার ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা অত্যাবশ্যক।

বর্তমানে ঔষধের দোকানসহ যত্রতত্রই ডায়বেটিস মাপার ব্যবস্থা বরয়েছে। যদি ডায়াবেটিস শনাক্ত হয় অবশ্যই অতিসত্বর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া আবশ্যক।

ডায়াবেটিস যত তাড়াতাড়ি শনাক্ত করা যাবে, সেই রোগীর জন্য সেটা ততই মঙল। তাতে ডাক্তার যেমন রোগটির চিকিৎসা দ্রুত শুরু করতে পারবেন, পাশাপাশি তার জীবনযাপনও একটি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে চলে আসবে।
ডায়বেটিস ভেষজ মিক্স পাবেন।
ভেষজ বাড়ি।
Newer Posts Newer Posts Older Posts Older Posts

Comments

Post a Comment